সম্পাশী নেসারূল কোরআন ঈদগাহ হাফিজিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও এতিমখানা মসজিদ এর প্রতিষ্ঠা বিবরণী
আছছালামুআলাইকুম। আমি নাকিছ তখন মৌলভীবাজার জেলার বাহার মর্দন গ্রামের জামে মসজিদের ইমাম। আমি ইংরেজী ১৯৭০ এর শেষাংশে বাংলাদেশ স্বাধীনতা সংগ্রামের পাকবাহিনী কর্তৃক নিয্যাতিত সম্পাশী গ্রামের শোকাহত লোকজনকে দেখতে যাই। এলাকার পরিচিত অপরিচিত মানুষের হাল পুরছি করি এবং দেখি ঐ গ্রামের মধ্যে একটি নতুন ঈদগাহের সূচনা হচ্ছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সংলগ্ন থানাবাজার এলাকায় ঐ পবিত্র ঈদগাহটি দেখা মাত্রই আমার মনে হল আমাকে কে যেন বলিতেছে এখানে যেন কোরআনের ঘর হইবে। তখন এই কথাটি বার বারই আমার মনে উদয় হয়েছে। এমতাবস্থায় আমি আমার বাড়িতে গিয়ে আমার ওয়ালিদ সাহেবের খেদমতে ঘটনাটিকে খুলিয়া বলি। আমার শ্রদ্ধেয় ওয়ালিদ মোহতারাম আমাকে আমার শ্রদ্ধেয় মুরশিদ পীরে কামিল শামছুল উলামা আল্লামা আব্দুল লতিফ সাহেব ক্বিবলা ফুলতলীর খেদমতে আমার মনের কথাটি বলার জন্য হুকুম করেন। সাহেব ক্বিবলা সেই সময় সিলেট কারাগারে বন্দী অবস্থায় ছিলেন।
আমার ওয়ালিদ মোহতারামের নির্দেশানুযায়ী ছাহেব ক্বিবলার খেদমতে উপরেল্লিখিত সম্পাশী গ্রামের নতুন ঈদগাহের কথা উল্লেখ করে আমার মনের সব কথা ব্যক্ত করি। এতে সাহেব ক্বিবলা সাথে সাথেই চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষন পরে চোখ খুললেন। তারপর তিনি আমাকে একটুকরা কাগজ দেওয়ার জন্য হুকুম করলেন। আমি আমার পকেট খুজে ছোট এক টুকরা কাগজ পাই এবং সাহেব ক্বিবলার হাত মোবারকে দেই। সাহেব ক্বিবলা ঐ কাগজখানি তিনির পবিত্র হাতে নিয়ে কিছূ পড়ে ফুক দিয়ে আমার হাতে দেন এবং বলেন যাও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মুরব্বিয়ানের জামায়েত করে তোমার মনের ইচ্ছাটুকু তুলে ধর। ইনশাআল্লাহ আল্লাহতায়ালা তোমার মনের আশাটুকু কবুল করবেন।
হুজুর ক্বিবলার এই হুকুম পাইয়া বেশী দেরী না করে একদিন সম্পাশী গ্রামে যাই এবং সেখানে মাগরিবের নামায আদায় করি। নামাযের পরই মসজিদের মুতাওয়াল্লি জনাব খন্দকার আখলাকুর রহমান সাহেব আমাকে মেহমান হিসাবে তিনি বাড়িতে নিয়ে যান। এই সময় তিনির খেদমতে জানতে চাই ঈদগাহ সংলগ্ন জমিটুকু কাহার। এতে তিনি জমির মালিকের নাম প্রকাশ করেন। তখন আমি উনাকে অনুরোধ করি আমাকে উনার কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং সবকিছু বলার জন্য। তিনি অপারগতা প্রকাশ করে গ্রামের দুইজন মুরব্বি মরহুম মন্তাজ উল্লাহ সাহেব ও জনাব আব্দুল মতিন সাহেব কে জমির মালিকের কাছে আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য উনাদের সঙ্গে দিয়ে পাঠাইলেন। জমির মালিক ছিলেন জনাব নাছির উদ্দিন(ঠাকুর মিয়া) সাহেব। মনে মনে আল্লাহর নাম লইয়া মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে কিছূ জমি আল্লাহর ওয়াস্তে দান করার জন্য আবেদন করি। অনেকক্ষন চিন্তা ভাবনা করে আল্লাহ পাকের ফজলে জনাব ঠাকুর মিয়া সাহেব ১৪/৭ হাত জমি ঈদগাহের উত্তর পাশে দিবেন বলে আশ্বাস দেন। আলহামদুলিল্লাহ এই জায়গা পাওয়ার আশ্বাস পাইয়া আমি আল্লাহর দরবারে শুকুর গুজার করি এবং গন্তব্যস্থানে চলে যাই।
এরপর উপরেল্লিখিত জায়গার উপরে এলাকার মুরব্বিয়ানের সহযোগীতা নিয়ে বিশেষ করে খন্দকার আখলাকুর রহমান সাহেবের সহযোগীতায় একখান বাশবেতের ঘর প্রতিষ্ঠা করিয়া কোরআন শরীফের খেদমত শুরূ করি। এলাকার প্রত্যেক মুরব্বিয়ান বরাবরে সকল মসজিদে চিঠি লিখিয়া একটি সভার আয়োজন করিয়া আমার মনের উদ্দেশ্যকে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরি এবং সকলের সহযোগীতা কামনা করি। সভার আলোচনা সাপেক্ষে আমার আবদার গৃহীত হওয়ার পর স্থানীয় ইউ,পি চেয়ারম্যান মরহুম আকলু মিয়া সাহেব এলাকার সকলের পরামর্শে মাদ্রাসা শুরূ করার জন্য একটি জলসার আয়োজন করা হয়। উক্ত জলছায় উপস্থিত ছিলেন হযরত আল্লামা হরমুজ উল্লাহ সায়দা সাহেব (রা:) এবং হযরত আল্লামা আব্দুর রহিম সাহেব (রা:) ছড়িপাড়ী। উনাদের ওয়াজ নছিয়ত শেষে বিশেষ দোয়া হয় এবং ০৩-০৬-১৯৭২ ইং সনের সোমবার সকালে দুইজন ছাত্র লইয়া এই দুইজন বুজুর্গান মাদ্রাসা শূরূ করেন।
আল্লাহপাকের অশেষ মেহেরবানী ও প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (সা:) এর ইজ্জতে পবিত্র কোরআন পাকের খাতিরে এ মাদ্রাসা ও ঈদগাহের জন্য প্রথম ৩৭ শতক জমি দান করেন খন্দকার আখলাকুর রহমান সাহেব ও মরহুম ইয়াকুব উল্লাহ সাহেব এবং আইয়ুব উল্লাহ সাহেব। উল্লেখ্য যে এই ৩৭ শতক জমি প্রথম থেকেই ঈদগাহের জন্য দান করা ছিল পরে শুধু এলাকার সবার পরামর্শে মাদ্রাসার সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। এর কিছূদিন পরে মরহুম সৈয়দ মাহমুদ আলী সাহেব আর ও ১৮ শতক জমি দান করেন। এর কিছুদিন পরে সম্পাশী গ্রামের জনাব জহুর মিয়া সাহেব একদিন ফজরের নামাযের পরে আমার কাছে আসেন। উল্লেখ্য যে এই জায়গা সংলগ্নে উনার ১৫ শতক জায়গা ছিল। তিনি ঐ সময় আমাকে বললেন যে উনি স্বপ্নে দেখেছেন যে এই জায়গাটুকু তিনি আল্লাহর নামে এই মাদ্রাসার জন্য দিয়েছেন। আমি উনাকে বুঝাইয়া বললাম যে আপনার পরিবারে চারজন ছেলে মেয়ে আছে। তাদের ভবিষ্যতের জন্য আপনার কিছু জমি রাখা দরকার। স্বপ্নে দেখলেই যে জায়গাটুকু দিয়ে দিতে হবে এমন বাধ্যতামুলক কিছু নয়। কিন্তু তিনি উনার সিদ্ধান্তেই অটুট। আমি উনাকে উনার পরিবারের সঙ্গে আলাপ করে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য উপদেশ দেই। এরপর তিনি আর কোন কথা না বলেই চলে গেলেন। এর একটু পরেই তিনি এলাকার দুইজন মুরব্বী নিয়ে আমার কাছে আবার আসলেন। এরমধ্যে একজন জনাব খন্দকার আখলাকুর রহমান সাহেব এবং অপরজন লন্ডন প্রবাসী জনাব আলহাজ্ব মাষ্টার মছদ্দির আলী সাহেব তিনি ঐ সময় বাংলাদেশে অবস্থান করছিলেন। তিনি তখন এই দুইজন মুরব্বি দিয়ে আমাকে জায়গাটুকু গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করলেন। আমি আবার আমার কথা উনাদেরকে বলি। কিন্তু তিনি কোন যুক্তিই শুনতে চাননি। পরে জনাব মাষ্টার সাহেব বললেন আপনি অর্ধেক জমি মাদ্রাসার জন্য দান করেন এবং বাকি অর্ধেক আমার কাছে বিক্রি করে দেন। আমি আমার বাবার নামে এই জায়গাটুকু মাদ্রাসার নামে দান করে দেব। উনার এই সিদ্ধান্তে আমি ও রাজি হলাম এবং জনাব জহুর মিয়া আমার সঙ্গে একমত হলেন। পরে দুজনের সাড়ে সাত শতক করে মোট ১৫ শতক জমি দান করা হয়। তারপর আলহাজ্ব আশিকুর রহমান সাহেব ওরফে লাল মিয়া আর ও আট শতক জমি মাদ্রাসার নামে দান করেন। এরপরে আমি নিজে আর ও ষোল শতক জমি মাদ্রাসার জন্য খরিদ করি। এর মধ্যে আমি গ্রামের মানুষের সাহায্য নিয়ে মাদ্রাসার জন্য একটি টিন শেডের ঘর তৈরি করি। মূলত এই ঘরটিই ছিল মাদ্রাসার ছাত্রদের জন্য একমাত্র পড়াশুনা করার ঘর।
আলহামদুলিল্লাহ বর্তমানে মাদ্রাসার জমির পরিমান মোট ৯৪শতক। দিন দিন মাদ্রাসার ছাত্র সংখ্যা বাড়তে শুরূ করল। তারপর আমি এই জায়গাটুকু ভরাট করে ২৪/৯ হাত জায়গার উপর একটি পাকা ঘর নির্মান করি। ছাত্র সংখ্যা দিন দিন বাড়ার কারণে জায়গায় অসুবিধা হওয়ায় এর কিছুদিন পরে আমি অনুরূপ আরেকটি ঘর নির্মাণ করি। দেশ বিদেশের মানুষের সাহায্য সহযোগীতায় আল্লাহর রহমতে মাদ্রাসার কায্যক্রম দিনে দিনে উন্নতি হচ্ছে। মাদ্রাসায় সবসময় তিন থেকে চারজন শিক্ষক শিক্ষকতা করিতেছেন। এখান থেকে প্রতি বছর আট থেকে দশজন ছাত্র পূর্ণ হাফিজে কোরআন হয়ে দেশে বিদেশের বিভিন্ন স্থানে এলমুল ওহী এর খেদমত করে যাচ্ছে।
মাদ্রাসার কয়েকজন সাবেক শিক্ষকদের নাম:
– হাফিজ মাওলানা ফয়জুল হক সাহেব
– মাওলানা সাইদুল হোসেন সাহেব
– হাফিজ আব্দুশহীদ সাহেব
– হাফিজ আবুল ফয়েজ সাহেব।
১৯৮৫ইং সনে আমি মাদ্রাসার দায়িত্বভার জনাব খন্দকার আখলাকুর রহমান সাহেবের কাছে দিয়ে আসি। তখন মাদ্রাসার দেখাশুনা এবং শিক্ষকতা করার জন্য ছিলেন জনাব হাফিজ আব্দুল কুদ্দুছ সাহেব দিঘিরপাড়ী, নূর উল্লাহ সাহেব চুনারূঘাট এবং জোবায়ের আহমেদ সাহেব আনসারী।
বতর্মান অবস্থা:
বর্তমানে জায়গার অসুবিধা হওয়ায় ৯৫/২৫ সাইজের বারান্দাসহ তিনতলা ফাউন্ডেশনের একট্ বিল্ডিংয়ের প্রথম তলা দেশি বিদেশী ধর্মপ্রাণ ভাইবোনদের সাহায্যে আলহামদুলিল্লাহ উহার প্রথম তলা পূর্ণ হয়েছে।
বর্তমানে এতিম খানার ছাত্রদের থাকার জন্য আলাদা কোন জায়গা নেই। এমতাবস্থায় ঐ বিল্ডিংটির দ্বিতীয় তলা পূর্ণ করা একান্ত জরূরী হয়ে পড়েছে। এবং এই মাদ্রাসায় নামাযের জন্য আলাদা কোন মসজিদ নেই। মাদ্রাসার ছাত্র এবং শিক্ষদের ওইখানেই নামায আদায় করিতে হয়। বিগত ১৫.০২.২০০৬ ইং সনে এলাকাবাসী নিয়ে একটি জরূরী সভার আয়োজন করে একটি মসজিদ নির্মাণ করার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছিল। এবং আল্লাহর রহমতে মসজিদের জন্য একটি নকশা ও ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়েছে। এবং এইদিনে উক্ত প্রতিষ্ঠানে একটি এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং চালু করা হয়েছে। এতিমখানায় বর্তমানে প্রায় চল্লিশজন এতিম মিসকিন ছাত্র আছেন।
উপরেল্লিখিত দ্বিতীয় তলার কাজ সম্পন্ন করতে আনুমানিক আঠারো থেকে বিশলক্ষ টাকার প্রয়োজন। মসজিদের প্রথম তলার জন্য আনুমানিক ৪০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। আল্লাহপাকের দরবারে নাকিছের আবদার মাদ্রাসাটিকে টাইটেল পর্যন্ত নেওয়ার ইচ্ছা আছে। মাদ্রাসার নিরাপত্তার জন্য এর চারিদিকে দেয়াল করার প্রয়োজন এবং টাইটেলের জন্য অন্তত আর ও একটি তিনতলা বিল্ডিং এর প্রয়োজন।
মাদ্রাসার বতর্মান শিক্ষকদের নাম:
– হাফিজ মাওলানা অাব্দুল বাছিত (প্রধান শিক্ষক)
– হাফিজ মাওলানা সিদ্দীক অাহমদ
– হাফিজ অাব্দুল মনির
– হাফিজ ক্বারী অাব্দুল হান্নান
– মাষ্টার অাবিদ হাছান (জামাল)
ব্যক্তিগত বিবরণীঃ
আমার জন্ম ০১-০১-৪২ ইংরেজীতে কানাইঘাট উপজেলার ছড়িপাড়া গ্রামে। আমার পিতার নাম মরহুম মৌলভী গোলাম রব্বানী এবং মাতার নাম মরহুমা মাহমুদা বিবি। আমার গ্রামের মসজিদেই এবং পাঠশালায় আমার ছোটবেলার পড়াশোনা সম্পন্ন করি। তারপর আমি আমার গ্রাম সংলগ্ন সরকারী সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে পড়াশুনা সম্পন্ন করি। আমার মাননীয় শিক্ষক মন্ডলীর নাম –
– আল্লামা আব্দুর রহিম সাহেব ছড়িপাড়ী(রা:) খলিফায়ে মদনী (প্রিন্সিপাল)
– আল্লামা নোমান সাহেব (রা:) খলিফায়ে বদরপুরী
– আল্লামা আরজুমন্দ আলী (রা:) রামপুরী কামিল
– আল্লামা ইরশাদ সাহেব (রা:) বাইয়মপুরী
– আল্লামা আজিজুর রহমান সাহেব (রা:)জুলাই
– আল্লামা মকবুল হোসেন সাহেব (রা:) জয়পুরী
– আল্লামা আব্দুল জলিল সাহেব (রা:) ইসবপুরী
– মাওলানা আবু সাইদ সাহেব (রা:) ছড়িপাড়ি
– মাষ্টার আলহাজ্ব আরফান আলী সাহেব (রা:) ছড়িপাড়ী
– মাষ্টার আলহাজ্ব আব্দুল আহাদ সাহেব (রা:) ছড়িপাড়ী
– আল্লামা বশির উদ্দিন সাহেব চৌধূরী দর্পনগরী
– মুন্সী আরমান আলী সাহেব ছড়িপাড়ী
সিনিওর মাদ্রাসা পড়াশুনা শেষে আমি কোরআনে হাফিজ হওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেই। তাই মা বাবার অনুমতি নিয়ে আমার বাড়ি হইতে প্রায় দুই মাইল পূর্বে ঈদগাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হইয়া হিফজের পড়াশুনা শুরূ করি। আমার হিফজের শিক্ষক আল্লামা হাফিজ আব্দুর নুর সাহেব (রা:) খলিফায়ে ফুলতলী এবং মাওলানা সইদ উদ্দিন সাহেব (রা:)। ১৯৬২ইং হইতে ১৯৬৮ ইং পর্যন্ত আমি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খেদমত করিতে থাকি। ১৯৬৮ ইংরেজীতে আমি মৌলভীবাজার জেলার কোর্ট জামে মসজিদে ইমাম এবং খতিব হিসাবে দায়িত্ব নেই। ১৯৭০ এর প্রথম দিকে মৌলভীবাজার সংলগ্ন বাহার মর্দান গ্রামের বিশিষ্ট তিনজন মুরব্বী এসে আমাকে জোর করে উনাদের গ্রামের মসজিদে নিয়ে যান। তারপর আমি সম্পাশী মাদ্রাসার কাজ শুরূ করে ঐখানেই আরো কয়েকজন শিক্ষক নিয়ে শিক্ষকতা শূরূ করি।
আমি ১৯৮৫ইং সনে ইংল্যান্ডে কভেন্ট্রি সিটির ঈগল স্ট্রিটে অবস্থিত ‘ইসলামিক ব্রাদারহুড কভেন্ট্রি’ মসজিদে ইমাম হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করি। প্রায় ১৫ বছর আমি এই মসজিদের খেদমতে ছিলাম। তারপর আমি ২০০২ইং সনে কভেন্ট্রি শাহজালাল জামে মসজিদে ইমাম এবং খতিবের দায়িত্বভার গ্রহণ করি। ২০০৬ ইংরেজীতে আমি মাদ্রাসার জন্য বাংলাদেশ এ যাই। তারপর আল্লাহর রহমতে আমি মাদ্রাসার কাজ শেষ করে আবার ইংল্যান্ডে ফিরে আসি। বর্তমানে আমি শাহজালাল জামে মসজিদে ইমাম এবং খতিবের দায়িত্বে আছি।